নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভোলার লালমোহন পৌরসভা ২০০৬সালের ২১ জুন প্রথম শ্রেণীতে উন্নতি হয়। দেশের প্রথম শ্রেণির এ পৌরসভার কসাইখানাটি গরু ছাগল জবাই করার জন্য শহরের উপকণ্ঠে উত্তর বাজার ৬ নং ওর্য়াড মাছ বাজার সংলগ্ন খালের পারে ১৯৯৬ সালে স্থাপিত হয় দৃষ্টিনন্দন ১ কক্ষ বিশিষ্ট কসাইখানাটি।তৈরির পর দীর্ঘ ২৬ বছরে সংস্কার বা উন্নয়নের লাগেনী ছোয়া। কসাইখানায় দৈনিক ১০ থেকে ১২টি গরু জবাই করা হয়।মাঝে মধ্যেই ২০ টি গরু জবাই হয়।অনেক সময় বাহিরে জবাই দিতে গিয়ে রক্ত গোবর পরে পরিবেশে নষ্ট হয়।এতে চলাচল করতে অসুবিধা হয় জনসাধারনের।
সরেজমিন পরিদর্শনকালে কামাল হোসেন অভিযোগকরে বলেন। কসাইখানার সামনে দোকান বসানোর কারনে গরুবেধে রাখতে পারিনা। এক পাসের ওয়াল ভাংঙ্গা ও কেচি গেইট কে বা কারা খুলে নিয়ে গেছে। গেইট না থাকায় ভিতরে রাত্রের বেলা মানুষ ডুকে প্রসাব পায়খানা করে। সকালে এসে পরিস্কার করে গরু জবাই করি। কসাই স্বপন বলেন ,গরুপতি জবাই করলে ১০০ টাকা পৌরটেক্স চাঁদা পরিশোধ করলেও আধুনিক কসাইখানার কোন সুবিধা পাইনা আমরা ।আনেকে আবার রাস্তায়, ছাগল জবাই করে।
কবীর কসাই বলেন এক সাথে দুইটি গরুর বেশি জবাই করতে পারিনা। কিন্তু দৈনিক ৮ /১০ টি গরু জবাই করা হয়। গরুর মল মুত্র ও জবাই কৃত রক্ত পরিস্কার করার মত সাপ্লাই বা কলের পানির ব্যবস্থা নাই ।নোংরা খালে পানি দিয়ে জবাইকৃত গরুর মাংসে পানি ঢেলে ময়লা ,গোবর ,রক্ত পরিষ্কার করতে দেখা যায়। খালের পানি দিয়ে গরুর মাংস পরিষ্কার করার হয়। ব্যাপারে লালমোহন পৌরসভার কসাই খানার পরিদর্শক মোঃ আঃ রাজ্জাক (জামাল) বলেন খালের পানিতে আনেক জীবাণু থাকে এই পানি দিয়ে মাংস দোয়া এটা স্বাস্থ্য সম্মত না। মটার নাই পানির ব্যাবস্থা নাই এটা আমাদের অপারগতা। তিনি মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
এ ব্যাপারে পৌর মেয়র এমদাদুল ইসলাম তুহিন বলেন আমাদের উপকূলীয় শহড় উন্নয়ন প্রকল্পে প্রস্তাবিত আছে। অন্তর্ভুক্ত করেছি।কসাইখানাটি দ্রুত মেরামত করার জন্য পৌর কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মানুষ ।
লালমোহনের কসাইখানাটি দীর্ঘ ২৬ বছরে সংস্কার বা উন্নয়নের ছোয়া লাগেনী
আপডেট : জানুয়ারি, ১৩, ২০২৩, ৬:৩১ অপরাহ্ণ
:
