মোঃ অহদিুর রহমান, মনপুরা (ভোলা) প্রতনিধি:
ভোলার মনপুরা বিচ্ছিন্ন চরনিজাম সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে ভাসমান অবস্থায় ভেসে আসে নাবিক বিহীন বিদেশী জাহাজ ‘আল কুবতান’। পরে সেটি চরনিজামের পূর্বপাশে চরে আটকে পড়ে। সেই বিদেশী জাহাজ ‘আল কুবতান’ থেকে ট্রলার করে রক্ষিত গুরুত্বপূর্ন মালামাল নিয়ে যাচ্ছে চরনিজাম ও ঢালচরের স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রশাসন জাহাজটি হেফাজতে নিতে দেরী করার সুযোগে একটি প্রভাবশালীর মহলে ইন্ধনে লাখ লাখ টাকার মালমাল লুট করছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
তবে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টায় পর্যন্ত প্রশাসনের কোন পর্যায়ের জনবল জাহাজটি হেফাজতে নিতে পারেনি বলে নিশ্চিত করেন চরনিজামের একাধিক বাসিন্দা। দুর্গম এলাকা ও সমুদ্র উত্তাল থাকায় জাহাজের হেফাজত নিতে দেরী হচ্ছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও আল নোমান। তবে তিনি নেভী, কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশকে বৃহস্পতিবার রাতে অবগত করেছেন দাবী করেন।
এদিকে শুক্রবার সকালে বিদেশি জাহাজের আল কুবতানের তদারকি করতে চরমানিকা কোস্ট গার্ডের একটি টিম ঘটনাস্থলে রওয়ানা হয়েছে বলে জানান মনপুরার কোস্ট গার্ডের কন্টিজেন্ট কমান্ডার মোঃ আসলামুল হক। তবে নেটওর্য়াক সমস্যায় চরমানিকা কোস্টগার্ডের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে চরনিজামের পূর্বপাশে বঙ্গোপসাগরে বিদেশী জাহাজ আল কুবতান ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। পরে স্থানীয়রা স্থানীয় চেয়ারম্যান জাকির হোসেন ও উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করে।
জানা যায়, নাবিক বিহীন জাহাজটির উপরের অংশ খোলা। জাহাজটিতে পাথর বোঝাই। একটি ভেকু মেশিন, পাথর ভাঙ্গার মেশিন ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় মালামাল রয়েছে। জাহাজটিতে কয়েক কোটির টাকার সম্পদ রয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক সূত্র জানান।
ভিডিও ফুটেজ ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে ভেসে আসা বিদেশী জাহাজ ‘আল কুবতান’ এর সাথে ট্রলার আটকিয়ে গুরুত্বপূর্ন মালামাল লুট করছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সূত্রটি দাবী করছে ইতিমধ্যে ট্রলারে করে নিয়ে গেছে অর্ধকোটি টাকার মালামাল। দ্রæত প্রশাসন জাহাজটি সুরক্ষা করতে না পারলে জাহাজে রক্ষিত মালামাল নিয়ে যাবে স্থানীয়রা।
এই ব্যাপারে উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের অর্ন্তগত বিচ্ছিন্ন চরনিজামের চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন জানান, বিদেশি জাহাজের খবরটি স্থানীয়রা জানালে পুলিশ প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করি।
এই ব্যাপারে মনপুরা উপজেলার নির্বাহী অফিসারের দায়িত্বে থাকা চরফ্যাসনের ইউএনও আল নোমান জানান, জাহাজটির ব্যাপারে প্রদক্ষেপ নিতে বৃহস্পতিবার রাতেই নেভী, কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশকে অবহিত করি। দুর্গম সাগর পথ তাই জাহাজটি হেফাজতে নিতে দেরী হচ্ছে। দ্রুত হেফাজতে নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।