রিপন শান:
বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা আর জনসমাবেশের মধ্যে দিয়ে গত ১১ জুন ২০২২ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রাচীন ও বৃহৎ রাজনৈতিক দল, ইতিহাস ঐতিহ্য ও উন্নয়নের ধারক বাহক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ভোলা জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ২০২২ সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
উক্ত সম্মেলনে ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের কাউন্সিলর ডেলিগেটদের প্রাণের দাবী ও প্রত্যাশার আলোকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তারুণ্যের কণ্ঠস্বর মইনুল হোসেন বিপ্লব।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের মহানায়ক জাতীয় নেতা তোফায়েল আহমেদের প্রাণপ্রিয় উত্তরসূরী সমাজবান্ধব কর্মীবান্ধব তারুণ্যের আইকন মঈনুল হোসেন বিপ্লব তাঁর এই অনন্য অর্জনের জন্য- গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে । গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছেন ১৯৭৫’র ১৫ আগস্ট কালোরাতে দেশি ও আন্তর্জাতিক চক্রের ষড়যন্ত্রে বুলেটের আঘাতে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ সকল শহীদদের। গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছেন মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জাতীয় চার নেতা সাবেক উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সাবেক প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামানকে। গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদ ও সম্ভ্রম হারানো ২ লক্ষ মা বোন যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বপ্নের স্বাধীনতা । তিনি প্রাণঢালা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নপুরণে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে দল ও দেশের জন্য অবিরাম কাজ করে যাওয়া মানবতার মা, সততার প্রতীক, উন্নয়নের প্রতীক, বাঙালি জাতির আশা ও ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল সফল রাষ্ট্র নায়ক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি, যার সফল পদক্ষেপে বাংলাদেশ আজ একটি সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত হতে চলেছে ।
মইনুল হোসেন বিপ্লব কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের মহানায়ক, ছাত্রলীগের সাবেক সফল সভাপতি, ডাকসুর সাবেক ভিপি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক সচিব, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত আস্থাভাজন, ভোলা জেলার ২০ লাখ মানুষের অভিভাবক, সাবেক সফল শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী আলহাজ্জ্ব তোফায়েল আহমেদ এম.পি’র প্রতি । যিনি ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে দাঁড়িয়ে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের মুখপাত্র হিসেবে ১০ লক্ষাধিক লোকের সামনে বাঙালি জাতির নয়নের মনি শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন। যার রাজনৈতিক অভিভাবকত্বে এবং যার দিক নির্দেশনায় ভোলা জেলা আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সকলের সাথে মিলেমিশে কাজ করে যাচ্ছেন , যার হাত ধরে. স্নেহ ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে মইনুল হোসেন বিপ্লব এত দূর আসতে পেরেছেন ।
নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এম.পি.র প্রতি যিনি উক্ত সম্মেলনে ভার্চুয়ালী সংযুক্ত হয়ে সম্মেলনকে সফল ও সার্থক করেছেন । এবং উপস্থিত কাউন্সিলর, ডেলিগেট সহ ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে আগামী দিনের পথচলার দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।
বিপ্লব আরো কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এবং ধন্যবাদ জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচূক্তি বাস্তবায়ন ও নিরীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ এমপি, প্রবীণ আইনজীবি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উপদেষ্টামন্ডলীর অন্যতম সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ.ফ.ম. বাহাউদ্দিন নাছিম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যানির্বাহী কমিটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য আনিসুর রহমান ও গোলাম রাব্বানী, ভোলা-৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য সাবেক উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব , ভোলা-৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন ও ভোলা-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য তাঁর প্রাণপ্রিয় বড়ভাই আলী আজম মুকুল, ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা ফজলুল কাদের মজনু মোল্লা, ভোলা জেলা পরিষদ প্রশাসক আবদুল মমিন টুলু, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা দোস্ত মাহামুদসহ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতিবৃন্দ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ বিশেষ করে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকিব, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকবৃন্দসহ জেলা আওয়ামী লীগের সকল নেতৃবৃন্দের প্রতি।
ভোলা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপিতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোশাররফ হোসেন, ভোলা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার সহ উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের সকল নেতৃবৃন্দের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
আরো ধন্যবাদ জানিয়েছেন ভোলা জেলার অর্ন্তগত সকল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিব ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ, পৌরসভার মেয়রবৃন্দসহ ভোলার জেলা আওয়ামী লীগের অর্ন্তগত সকল ইউনিটের নেতৃবৃন্দ ও সকল পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের প্রতি।
জেলা আওয়ামী লীগের অর্ন্তভুক্ত সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও কর্মী সমর্থকদের প্রতি, যারা বিগত বছরগুলোতে নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে আওয়ামীলীগ কে সুসংগঠিত করতে জেলা আওয়ামী লীগের নির্দেশে সকল রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন ও এবারের সম্মেলনকে সাফল্যমন্ডিত করতে সার্বিক সহযোগিতা করে গেছেন। আরো ধন্যবাদ জানিয়েছেন ভোলা জেলার গুণিজন, নাগরিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, শিক্ষক, সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিসহ সকল পেশাজীবি সংগঠনের প্রতি যারা বিগত দিনে বর্তমান সরকারের সকল ইতিবাচক কর্মকাণ্ড কে সমর্থন জানিয়ে আওয়ামী লীগের সকল কর্মসূচী ও জাতীয় দিবস পালনে সর্বাত্মক সহযোগিতাসহ অংশগ্রহণ করেছেন।
বিশেষ করে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন, ভোলা জেলা প্রশাসক মোঃ তৌফিক ই লাহী চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সহ প্রশাসন ও আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রতি।
বিশেষ করে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন যারা সম্মেলন পরবর্তী নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক কে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে শুভেচ্ছা বার্তা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন তাদের সহ সকল শুভাকাঙ্খিদের প্রতি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ভোলা জেলা শাখার সভাপতি হিসেবে পুনঃ নির্বাচিত হওয়ায় বীরমুক্তিযোদ্ধা ফজলুল কাদের মজনু মোল্লাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব ।
একান্ত আবেগঘণ সামাজিক কৃতজ্ঞতা বার্তায় ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক তারুণ্যের মাইলফলক মইনুল হোসেন বিপ্লব বলেন-
আমি সকলের কাছে দোয়া ও সহযোগিতা চাই। আমাকে যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, আমি যেন দলের সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি শতভাগ অনুগত থেকে তাঁর গৃহীত পদক্ষেপ ও স্বপ্নপূরণে কাজ করে যেতে পারি। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশনা মোতাবেক সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দলকে সকলের মতামতের ভিত্তিতে সুসংগঠিত করতে পারি । বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রশ্নে আপসহীন থেকে যেকোন ধরণের ত্যাগ স্বীকার করতে পারি।