শিক্ষার্থীদের শ্রেণি পাঠ প্রাণবন্ত ও আকর্ষণীয় করার কৌশলসমূহ:
লেখক -মোসাঃ হোসনে আরা বেগম( নাহার)
শ্রেণিতে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের সাথে সালাম ও কুশল বিনিময়, আঞ্চলিকতা পরিহারপূর্বক শিক্ষার্থীদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য না করা এবং তুই না বলে নাম ধরে ডাকা;
শিক্ষকদের রুচিসম্মত ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধান করা; প্রয়োজনে হাল্কা ফ্লেভারের পারফিউম ব্যবহার করতে হবে।
শ্রেণি ব্যবস্থাপনা যেমনঃ দরজা-জানালা খুলে দেয়া ও শিক্ষার্থীরা এলোমেলো ভাবে বসে থাকলে তা বিন্যাস করা, শ্রেণির অভ্যন্তরে ময়লা- আবর্জনা থাকলে তা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার ব্যবস্থা করা।
বোর্ডে পাঠের বিষয়, তারিখ লিখা। তবে শিক্ষার্থীর প্রশ্ন করে লিখলে ভালো হয়। যেমনঃ বলতো আজ কতো তারিখ? আজ আমরা কী পড়বো?
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রশ্ন করে পাঠ শিরোনাম ঘোষণা করলে পাঠ আকর্ষণীয় হয়ে ওঠবে;
বাস্তব শিক্ষা উপকরণ, পোস্টার পেপার উপস্থাপন করা যেতে পারে;
একক কাজ, জোড়ায় কাজ বা দলীয় কাজ দিয়ে সকল শিক্ষার্থীদের পাঠে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে সবল-দুর্বল সংমিশ্রণে দল গঠন করা যেতে পারে ;
বিমূর্ত বিষয়গুলো মাল্টিমিডিয়া প্রোজেক্টর/ স্মার্ট বোর্ড / টিভি এর মাধ্যমে ছবি, ভিডিও, অডিও এর মাধ্যমে উপস্থাপন করলে পাঠ শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্থায়ী হবে;
বিজ্ঞান বিষয়ের পাঠদানে বিজ্ঞানাগারের ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে;
ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষায় যেমনঃ যাকাত, হজ্ব, সালাত, রোজা, প্রতিবেশীর হক, আত্মীয় স্বজনের হক, বান্দার হক, ওজু, গোসল এসব বিষয় ক্ষুদ্র নাটিকা বা ভূমিকা অভিনয়ের মাধ্যমে পাঠদান করলে সেই পাঠ শিক্ষার্থীদের কোমল হৃদয়ে স্থায়ী হবে;
শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বিকাশে গতানুগতিক বাড়ির কাজ না দিয়ে পারিপার্শ্বিক বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে বাড়ির কাজ দিতে হবে;
পাঠ শেষে পাঠ মূল্যায়ন করতে হবে; কোন শিক্ষার্থীকে নির্দিষ্ট করে প্রশ্ন না করে সকলের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করতে হবে। প্রশ্ন পদ্ধতি ছাড়াও বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে মূল্যায়ন করা যেতে পারে।
সর্বোপরি একবিংশ শতাব্দীর শিক্ষার্থীদের পাঠদানে একজন শিক্ষককে মানবিক ও Updated শিক্ষক হতে হবে;
পাঠ শেষে যুগোপযোগী একটা নৈতিক বাক্য উপস্থাপন করে ; হাসি-মুখে ধন্যবাদ দিয়ে পাঠ শেষ করতে হবে।
🌻🌻🌻
লেখক -মোসাঃ হোসনে আরা বেগম( নাহার)
সিনিয়র শিক্ষক( জীব বিজ্ঞান)
লালমোহন সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, লালমোহন, ভোলা।