লালমোহন প্রতিনিধি:
ভোলার লালমোহনে ২বছরের শিশু উঠানে খেলাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের চতলা বাজারের পশ্চিম পাশে ওমেদ আলী মহাজন বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।
একই বাড়ীর তানহা জানান, বুধবার (২৫ মে) বিকালে আমার শিশু মেয়ে তাহিয়া (২) বাড়ীর উঠানে খেলতে খেলতে বাড়ীর আরিফদের ঘরের সামনে যায়। তখন ওরা আমার মেয়েকে মারধর করলে আমার মা আনজোরা (৭৫) তাদেরকে ডাক দিলে আরিফের সঙ্গে তার কথার কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আরিফ আমার মা আনজোরাকে মারতে শুরু করে। তার চিৎকার শুনে আমি ও ঝরনা আসলে আরিফের ঘর থেকে তার বাবা কাশেম, ভাই রিয়াজ, জিহাদ, ভগ্নিপতি হেলাল এসে আমাদেরকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মারতে শুরু করে। এরই মধ্যে আমার ছোট বোন ১০শ্রেণির ছাত্রী ফাতেহা মাদ্রাসা থেকে বাড়ীতে আসে। ওরা তাকেও মারতে শুরু করে এবং ফাতেহার মাথায় কোপ দেয় আরিফ। এতে ফাতেহার মাথা ফেটে যায়। ওরা আমাদেরকে মেরে চলে যাওয়ার পর আমরা রক্তাত্ত অবস্থায় ফাতেহাকে নিয়ে দ্রুত লালমোহন হাসপাতালে ভর্তি হই। বর্তমানে তানহা ও ফাতেহা লালমোহন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। তানহা আরো জানান, আমাদের ঘরে কোন পুরুষ মানুষ নেই। সবাই বিভিন্ন যায়গায় চাকুরী করে। তাই ওরা আমাদেকে বিভিন্ন সময় কারনে আকারনে গালিগালাজ করে।
ঘটনা শুনে সন্ধ্যায় বাড়ীতে আসেন তানহার বাবা মোঃ জাফর উল্যাহ (৫৬)। তিনি মাগরিবের নামাজ পড়ে লালমোহন হাসপাতালে মেয়েকে দেখতে রওয়ানা দিলে হেলাল, ফারুক, রিয়াজ, কাশেম, আরিফ তাকে বেরধক মারধর করে তার জামা কাপড় ছিড়ে ফেলেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আরিফের মোবাইলে কল করলে তার নাম্বার বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। অপর অভিযুক্ত আরিফের ভগ্নিপতি হেলাল বলেন, ওরা জামাত শিবিরের লোক। ওরা সকালের যাত্রা শুরু করে খালেদা জিয়াকে নিয়ে। ওরাই আমাদেরকে মেরেছে আমরা তাদেরকে মারিনাই।
লালমোহনে ২বছরের শিশু উঠানে খেলাকে কেন্দ্র করে ১০ শ্রেণির ছাত্রীকে কুপিয়ে জখম
আপডেট : মে, ২৫, ২০২২, ৯:৩৩ অপরাহ্ণ
:
