বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ভোলায় ফেসবুকে নবীকে নিয়ে কটুক্তি ও প্রতিবাদের ঘটনায় জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে কে অবশেষে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। ভোলার পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ বাধ্য হয়ে পুলিশি হেফাজতে থাকা গৌরাঙ্গ কে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার শুক্রবার সকালে আজকের পত্রিকা কে জানান, ভোলা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে কে বৃহস্পতিবারই গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে’র ফেসবুক আইডি থেকে নবীকে নিয়ে কটুক্তির বিষয়ে তদন্ত চলছে বলেও জানান পুলিশ সুপার। উল্লেখ্য, ভোলা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে’র ফেসবুক আইডি থেকে জয় রাম নামে এক ব্যক্তির ফেসবুক আইডি’র ম্যাসেঞ্জারে লেখালেখির এক পর্যায়ে গৌরাঙ্গ’র ওই আইডি থেকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা হয়। ওই লেখা কে বা কারা স্ক্রিনশট দিয়ে বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করলে মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়৷ এতে ক্ষুব্ধ হন ধর্মপ্রান মুসলমান। তারা প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠে। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ ভোলা উত্তর শাখা এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে বিভিন্ন ইসলামী দলসহ হাজারো মানুষ ওই প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেন। ইসলামী দলগুলোর নেতারা এতে বক্তৃতা করেন। ওই সমাবেশ থেকে বক্তারা ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে হুশিয়ার করে বলেন, ওই সময়ের মধ্যে গৌরাঙ্গকে গ্রেপ্তার না করলে কঠোর আন্দোলনেরও হুমকি দেয়। সমাবেশস্থলে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। এদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রথমে জানানো হয় যে, ভোলা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে’র ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়েছে। তার সেই আইডি৷ থেকে হ্যাকাররা এ মন্তব্য করে। এ ব্যাপারে গৌরাঙ্গ ভোলা সদর মডেল থানায় একটি জিডি করেছেন বলেও বৃহস্পতিবার জানিয়েছিলেন ওসি মোঃ এনায়েত হোসেন। এ ছাড়া গৌরাঙ্গ জীবনের নিরাপত্তা চেয়েও থানায় লিখিতভাবে আবেদন জানান। ওসি আরও জানান, আমরা প্রকৃত অপরাধীকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়া এবং সামাজিকভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করারও আহ্বান জানানো হয়।