শিমুল চৌধুরীঃ
উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলায় গত কয়েকদিনে হঠাৎ করে করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন জনসাধারণ।
এদিকে করোনার সংক্রমণ বাড়লেও ভোলার বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্র, বাজার ও সড়কে চলাচলরত পথচারীদের অনেকেই ব্যবহার করছে না মাস্ক।
মাস্ক ব্যবহারের পাশাপাশি নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে চলা ও গণজমায়েত না হতে সরকারের স্বাস্থ্যবিভাগ থেকে বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হলেও অনেকেই তা মানছেন না। এতে করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও করছেন সাধারণ জনগণ।
আজ বুধবার সকালে ভোলার বাজারে ও সদরের রাস্তায় ঘুরে দেখা যায়, অনেক পথচারী মাস্ক ছাড়াই ঘোরাফেরা করছেন। অনেকে বাজার করতে বাজারে আসছেন, তবে তাদের মধ্যে অনেকের মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো লক্ষণই দেখা যায়নি। অনেকে আবার মাস্ক পকেটে নিয়ে ও হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
সদর উপজেলার মাছ বাজার ও সবজি বাজারে গিয়েও দেখা গেছে, অনেক ক্রেতা ও বিক্রেতা মাস্ক না পড়েই বাজারে আসছেন।
তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলছেন, সব সময় মাস্ক ব্যবহার করতে ভালো লাগে না।
শহরের যুগিরঘোল এলাকার অটোরিকশা চালক ফারুক হোসেন বলেন, এখন অনেক গরম পড়েছে। গরমের মধ্যে মাস্ক পরতে সমস্যা হচ্ছে। তাই মাস্ক পরা হচ্ছে না।
এদিকে ভোলার সিভিল সার্জন দপ্তর সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় ভোলায় ৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন আরো ১০ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে এ জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার ৯৬ জনে দাঁড়িয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে জেলায় মোট মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। সূত্র আরো জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় আইসোলেশনে রয়েছে ৪ জন। মোট আইসোলেশনে ৩৬৩ জন। এর মধ্যে সুস্থ্য হয়েছে ৯৯৯ জন।
এ ব্যাপারে ভোলার সিভিল সার্জন ডাঃ সৈয়দ রেজাউল ইসলাম বলেন, ভোলায় করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ে স্বাস্থ্যবিধি মানতে স্বাস্থ্য বিভাগ কঠোর হচ্ছে। এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
এ ছাড়া আজ বুধবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সভা হয়েছে।
অপরদিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্র জানায়, স্বাস্থ্যবিধি মানতে ও মাস্ক পরতে আজ সকালে অভিযানে নেমেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। তারা সদর উপজেলার হাটখোলা মসজিদ এলাকা থেকে শুরু করে যুগিরঘোল এলাকা পর্যন্ত নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট রিদোয়ানুল ইসলাম অভিযান চালিয়ে মাস্ক না পরায় ১০ জনকে ২১০০ টাকা জরিমানা করেন। এ সময় তিনি জনগণের মাঝে ২০০ মাস্ক বিতরণ করেন। ম্যাজিষ্ট্রেট ইউসুফ হাসান ২১ জনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। তিনি ২০০ মাস্ক বিতরণ করেন।