সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম মহোদয়কে দেয়া শোকজ লেটার নিয়ে কিছুটা উত্তপ্ত রাজনৈতিক অঙ্গন। মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম শোকজ লেটার নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় দফতর সেলে তার লিখিত জবাব ও নিজ বাসায় প্রেস কনফারেন্স করে নিজের অবস্থান পরিস্কার করেছেন।.
বিএনপির একটি পক্ষ ১/১১ এ তার ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন কটাক্ষ ও বিদ্রুপমূলক মন্তব্য করে দেশপ্রেমিক যুদ্ধাহত এ বীরমুক্তিযোদ্ধাকে অসম্মান করছেন। মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম উপরোক্ত বিষয়টিও প্রেস কনফারেন্সে পরিস্কার ব্যাখ্যা করেছেন।
৭ই নভেম্বরের সিপাহি জনতার ঐতিহাসিক অভ্যুথানের মাধ্যমে ইতিহাসের পাদপ্রদীপে আসেন মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান বীরউত্তম। নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে ১৯৭৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বর বিএনপি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর মেজর জিয়া হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রমকে বিএনপিতে যোগ দেয়ার আহবান জানান। মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম তখনও ফুটবল খেলেন। তিনি ১৯৭৬ সালে সেনাবাহিনী হতে অবসর গ্রহণ করে ফিরে যান পায়ের জাদুর নৈপুণ্য দেখাতে তার প্রিয় মোহামেডান ক্লাবের খেলার মাঠে।তিনি মেজর জিয়াকে বলেছিলেন স্যার……! আমি এখনও ফুটবল খেলি। রাজনীতির প্রতি তখনও তার কোনো উচ্চাভিলাস ছিল না। যদি তখন তিনি বিএনপিতে যোগ দিতেন তাহলে আজ তিনিই থাকতেন বিএনপির মধ্য বয়োজ্যেষ্ঠ সিনিয়র নেতা।
১৯৮৫ সালে তার পিতা মরহুম ডা.আজাহার উদ্দিন আহমেদ এর উপজেলা নির্বাচনে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে কেন্দ্র করেই তিনি রাজনীতির মাঠে আসেন। ভোলা-৩ সংসদীয় আসনও তখন ছিলনা। এ আসনটি ভোলার চারটি সংসদীয় আসনে যুক্ত ছিলো,তিনি তৎকালীন নির্বাচন কমিশনে আসন পূনবিন্যাস করে ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) সংসদীয় আসন সৃষ্টি করেন। ১৯৮৬ সালের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হন। ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি এ আসনের বিএনপি প্রার্থীকে হারিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করেও জয়লাভ করেন।
তিনি স্বতন্ত্র নির্বাচন করে জয়ী হয়ে তিনবার এরপর আরও তিনবার মোট ছয়বার সংসদ সদস্য হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। ১৯৯২ সালে তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন। তিনবার সংসদ সদস্য হয়ে বিএনপিতে যোগদান করেছেন এমন নজির বিএনপিতে নেই,একমাত্র উদাহারন মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম। ছয়বার এমপি হয়ে মন্ত্রী হয়েছেন একাধিক মন্ত্রণালয়ের। বর্তমানে লালমোহন- তজুমদ্দিনে বিএনপির শক্ত ঘাটি এটা তার অবদান।
তিনবার হ্যাটট্রিক বিজয়ী হয়ে বিএনপিতে যোগদান করা একমাত্র নেতা হলেন মেজর হাফিজ। বিএনপি তাকে সৃষ্টি করেনি, তিনি নিজে নিজেকে সৃষ্টি করে একটা আসন বিএনপির জন্য উপহার দিয়েছেন। আমি মনে করি বিএনপি তার কাছে ঋণী। আজকে যারা তাকে নিয়ে বিদ্রুুপমূলক মন্তব্য করছো, তিনি যুদ্ধে আহত হয়ে মরনপন লড়াই করে দেশ স্বাধীন করেছে বলেই তুমি স্বাধীন দেশে রাজনীতি করছো,সংগঠনের পদ-পদবি নিয়ে বড়াই করছো?দেশমাতৃকার এ খাটি দেশপ্রেমিক সন্তানের কাছে ঋণী পুরো জাতি।
এম.ইউ.মাহিম
যুগ্ম সম্পাদক
লালমোহন উপজেলা যুবদল
বার্তা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক
ঢাকাস্থ লালমোহন থানা জাতীয়তাবাদী ফোরাম
সাবেক ছাত্রনেতা সরকারি শাহবাজপুর কলেজ ছাত্রদল