আরশাদ মামুন, লালমোহন
সময়টা ২০০১ সালের ৪ঠা অক্টোবর।
লালমোহন উপজেলাধীন লর্ডহাডিঞ্জ ইউনিয়নের অন্নদাপ্রসাদ এলাকা। ঘুটঘুটে অন্ধকার। চারদিকে নিরব নিস্তব্ধ। হঠাৎ বিশাল হৈ চৈ পড়ে গেল। আমাকে বাচাঁও, আমাকে বাঁচাও শব্দে প্রকম্পিত হয়ে উঠল গোটা এলাকা। ছোট বাচ্চাগুলো অঝোরে কাঁদতে থাকে। মহিলাদের আর্তবিলাপে ভারী হয়ে উঠে পুরো এলাকা। বাড়ীর ভিতরে কি হচ্ছে সেটা জানতে উৎসুক জনতা ভীড় করতে থাকে। কিন্তু কাহারো বাড়ীর মধ্যে যাওয়ার সাহস হল না। বিএনপি-জামাত জোটের হিংস্র নরপিচাশ কর্তৃক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের রীতা রানী দাসকে অস্ত্রের মুখে সম্ভ্রম হানী করল। রীতা রানির আর্তচিৎকারে সেদিন কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি। ২০০১ সালের পর আমার নির্বাচনী এলাকায় এভাবে একের পর এক মা-বোনের ইজ্জত কেড়ে নিতে থাকে। শুধু সম্ভ্রম হানী করেই ক্ষান্ত দেননি। একের পর এক লুট করতে থাকে গোটা এলাকা। প্রকাশ্যে হত্যা করা থেকে শুরু করে মানুষের চক্ষু উৎপাটন কোন কিছুই বাদ যায়নি সেদিন।
৮ বছরের রীতা রানী সেদিন সম্ভ্রম হারিয়েছেন। হারিয়েছেন নিজের পৈত্রিক বসত ভিটা ঘরটি। জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়ে পুরো হিন্দু এলাকা।
আমি নির্বাচিত হওয়ার পরই মনোনিবেশ করি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এ অসহায় পরিবারগুলোর দিকে। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার মতো দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো নিশ্চিত করি।
সেদিনের সেই দু:সহ স্মৃতি আজ শুধুই ইতিহাস। রিতা রানী আজ খুবই খুশি। তাদের সেই বসত ঘরটি জননেত্রী শেখ হাসিনা পাকা করে দিয়েছেন। শুধু রীতা রানী নয়। এভাবে কোটি কোটি নারী পুরুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলেছেন জননেত্রী, দেশরত্ন শেখ হাসিনা।