লালমোহন প্রতিনিধিঃ লালমোহন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান বিএনপি নেতা মো.নাসিম মাতাব্বর। দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তির লক্ষ্যে তাঁর সমর্থিত নেতা-কর্মীরা ফেসবুকে দোয়া ও সমর্থন কামনা করে পোস্টার, ব্যানাড় করে উপজেলা বিএনপির নীতি নির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। নাসিম মাতাব্বর লালমোহন ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, লালমোহন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সভাপতি, ঢাকাস্থ লালমোহন থানা জাতীয়তাবাদী ফোরাম”র সহ-সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
ইউনিয়নের দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তিনি নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন, দলে তার শ্রম ও ত্যাগ বিবেচনা করে তাকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দেবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
লালমোহন ইউনিয়নে কর্মীবান্ধব নেতা হিসেবে তার খ্যাতি রয়েছে। বিগত সময়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের সুখে-দুঃখে পাশে ছিলেন। দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা-কর্মীদের স্নেহ,মমতা ভালোবাসা দিয়ে আপন করে নেন। রাজনৈতিক পদবির বাইরেও সামাজিক কর্মকান্ড করে দল-মত নির্বিশেষে সকলের কাছে নিজের গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করেছেন। ইউনিয়নের অনেক অসহায় বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ, মাদ্রাসায় আর্থিক অনুদান দিয়ে বিভিন্ন সমাজ কল্যান মূলক কাজ করেছেন।
নাসিম মাতাব্বর বলেন, আমি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে উজ্জীবীত হয়ে আমার নেতা মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রমের নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্যশীল হয়ে রাজনীতি করি। আমার রাজনৈতিক দর্শন হলো মানবসেবা তথা শ্রেনী বৈষম্য, শোষনহীন, সমাজ প্রতিষ্ঠা। অসাম্প্রদায়িক, বাল্যবিবাহ,মাদক নির্মুল,সন্ত্রাস, ধর্ষণ সহ সকল সামাজিক অপরাধমুক্ত একটি মডেল ইউনিয়ন গড়ার লক্ষ্যে গরীব অসহায় মেহনতি ও শ্রমজীবি মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চাই।
আমি ভিক্ষুকমুক্ত লালমোহন ইউনিয়ন গড়তে চাই, ভিক্ষুকদের মাছের খামাড়,গরু,ছাগল বিতরণের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হবে। দলের দুর্দিনের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা-কর্মীদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে। আমি নেতা-কর্মীদের মধ্য কে কার অনুসারী এসব বিবেচনা করব না।
আমি কাজের মাধ্যমে এমন দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করে যেতে চাই, যাতে মৃত্যুর পর জনগণের মাঝে আমি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকতে পারি। আমার জানাযা নামাজে দল-মত নির্বিশেষে যেনো জনতার ঢল নামে।