লালমোহন প্রতিনিধিঃ
ভোলার লালমোহনের উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে স্বতন্ত্র এবতেদায়ী এক মাদ্রাসার নামে বই নিয়ে অন্য মাদ্রাসার নামে বিতরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে লালমোহন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর সুবিচার পাওয়ার জন্য লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন মোঃ ই্উসুফ নামের প্রধান শিক্ষক। অভিযোগ থেকে জানা যায় লালমোহন ইউনিয়নের ফুলবাগিচা এলাকার কালিরটেক গ্রামে পাশাপাশি দুইটি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা রয়েছে। একটির নাম কালিরটেক হানিফিয়া স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা, অন্যটির নাম কালিরটের স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা, কালিরটেক হানিফিয়ার প্রধান শিক্ষক মোঃ ই্উসুফ এবং কালিরটেক স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মোঃ মোহসিন মোঃ মোহসিন তার নিজের মাদ্রাসা কালিরটেক স্বতন্ত্র এবতেদায়ীর নামে বই নিয়ে কালিরটেক হানিফিয়া স্বতন্ত্র মাদ্রাসার নামে বিতরন করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বলেন প্রত্যেকে তার নিজ নিজ মাদ্রাসার নামে বই নিয়েছে কিন্তু বিতরনের সময় কে কার নামে বিতরন করেছে তাহা আমি জানিনা। এই দুইটি মাদ্রাসার একটি কালিরটেক হানিফিয়া স্বতন্ত্র নিয়ে অনেক আগে থেকে দ্বন্ধ চলছে। হানিফিয়া নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরেজমিনে তদন্ত করতে বলেছেন। দ্রুত তদন্ত করে যেটা সঠিক আমরা সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। কালিরটেক স্বতন্ত্রের নামে বই নিয়ে কেন কালিরটেক হানিফিয়া স্বতন্ত্রের নামে বিতরন করেছে তা কালিরটেক স্বতন্ত্রের প্রধান শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়েও তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে কালিরটেক স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মোঃ মহসিনকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন আমি কালিরটের হানিফিয়া স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক। আমি উপজেলা থেকে হানিফিয়া স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার নামে বই এনেছি এবং এই নামে বিতরন করেছি। মোঃ ইউসুফ কিভাবে এই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হল এবং কে তাকে নিয়োগ দিয়েছে তার কোন ডকুমেন্ট কি তার কাছে আছে? সকল কাগজপত্র আমাদের রয়েছে এবং আমরাই সঠিক।