আজ লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি প্রবীণ বিএনপি নেতা মরহুম শাজাহান ভাইয়ের ১ম মৃত্যুবার্ষিকীতে জানাই গভীর শ্রদ্ধা। ২০২০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি তিনি রমাগঞ্জবাসীকে শোকের সাগড়ে ভাসিয়ে অন্তিম শয়নে চলে যান। তিনি দীর্ঘ ২৫ বছর ইউনিয়ন পরিষদে ইউ.পি সদস্য হিসেবে সততা ও নিষ্ঠার সহিত দায়িত্ব পালন করেন। সাধারণ জনগণের খুব কাছাকাছি থেকে মানুষের সুখ-দুঃখের সাথী ছিলেন শাজাহান মেম্বার। নিজের সুখ বিসর্জন দিয়ে জনগণের সেবায় সারা জীবন নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।
তিনি মেজর অব.হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম মহোদয়ের একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী হিসেবে রমাগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপিতে দীর্ঘ বছর নেতৃত্বে ছিলেন। দল ও নেতার প্রতি আনুগত্যশীল মরহুম শাজাহান ভাই হৃদয়ের অন্তরালে বহমান ভালোবাসা দিয়ে নেতা-কর্মীদের আগলে রাখতেন। দল ও নেতার প্রতি অবিচল আস্থা আর ভালোবাসায় বিসর্জন দিয়েছেন জীবন-যৌবনের অনেক কিছু। দলের দুঃসময়ের এ অকুতোভয় যোদ্ধা নিজের সর্বস্ব উজার করে রমাগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপিকে শক্তিশালী করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। দলের দুঃসময়ের কান্ডারী শাজাহান মেম্বার অনেক হয়রানি হওয়া সত্ত্বেও আপসহীন ভূমিকায় দলীয় নীতি আদর্শে আমৃত্যু অটল ছিলেন। তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের কাছে আজীবন অনুপ্রেরণার বাতিঘর হয়ে থাকবেন।
আমি শাজাহান ভাইয়ের সঙ্গে বিভিন্ন প্রসঙ্গে কয়েকবারই ফোনে কথা বলেছিলাম। অসুস্থ থাকার সময় আমার নেতার সঙ্গে, জাতীয়তাবাদী ফোরাম’র সাধারণ সম্পাদক, কাঞ্চন ভাইসহ হাসপাতালে কয়েকবার দেখতে গিয়েছিলাম। তিনি দল ও মেজর অব.হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে কতটা ভালবাসতেন তা ভাষায় বর্ণনাতীত। তার শেষ বিদায়েও আমার উপস্থিত থাকার সৌভাগ্য হয়েছিলো। সেদিন অশ্রুসিক্ত নয়নে দল-মত নির্বিশেষে হাজারো মানুষের ঢল নামে। মানুষের আর্তনাদ আর আহাজারিতে বেদনাবিধুর শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়। তাঁর সঙ্গে থাকা স্মৃতিটুকু আমার হৃদয়ে সারাজীবন জ্বলজ্বল করবে।
দল অন্তঃপ্রাণ এ মানুষটির রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। মহান আল্লাহ শাজাহান ভাইকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদায় আসীন করুন।
এম.ইউ.মাহিম
যুগ্ম সম্পাদক
লালমোহন উপজেলা যুবদল,
বার্তা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক
ঢাকাস্থ লালমোহন থানা জাতীয়তাবাদী ফোরাম,
সাবেক ছাত্রনেতা সরকারি শাহবাজপুর কলেজ ছাত্রদল।