রবিবার, রাত ২:৩৮, ১৪ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৮ই জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি
ভোলা ট্রিবিউনের পক্ষ হতে সকলকে জানাই প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
জাতীয় | আন্তর্জাতিক | ভোলা সদর | দৌলতখান | বোরহানউদ্দিন | লালমোহন | তজুমুদ্দিন | চরফ্যাশন | মনপুরা | ভোলার ইতিহাস ঐতিহ্য | বিশেষ সাক্ষাৎকার | প্রবাসীদের কথা | পাঠক কলাম |

আজ ভয়াল ১২ নভেম্বর ॥ ইতিহাসের শোকাবহ দিন পালিত হবে “উপকূল দিবস”

আপডেট : নভেম্বর, ১২, ২০২০, ৬:৪০ অপরাহ্ণ

:

 

 

শিমুল চৌধুরী, ভোলা: 
আজ বৃহস্পতিবার সেই ভয়াল ১২ নভেম্বর। ইতিহাসের এক শোকাবহ দিন। উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলাবাসীর বিভীষিকাময় দুঃস্বপ্নের দিন আজ। ১৯৭০ এর এ দিনে উপকূলবাসীর জীবনে নেমে এসেছিল এক মহাদুর্যোগ। প্রলয়ঙ্করী ঘুর্ণিঝড় গোর্কী ও জলচ্ছ্বাসে লন্ড-ভন্ড করে দেয় উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলা। ওই দিন পুরো জেলা ধ্বংস লীলায় পরিনত হয়েছিল। মুহুর্তের মধ্যেই ক্ষত বিক্ষত করে দেয় জেলার বিস্তীর্ণ জনপদ। ১২ নম্বর মহা বিপদ সংকেতের সামুদ্রিক জলচ্ছ্বাসে ও মহা প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় নিমিষেই তলিয়ে গিয়েছিল উপকূলীয় চরাঞ্চলের বাড়ি-ঘর এবং মাঠের সোনালী ফসল। স্রোতের তোড়ে ভেসে গিয়েছিল কয়েক লাখ মানুষ ও গবাদি পশু। পুরো উপকূল যেন বিরান ভূমিতে পরিনত হয়েছিল। জলচ্ছ্বাসের পর থেকে দেড় মাস পর্যন্ত স্বজন হারানোদের কান্নায় উপকূলের আকাশ বাতাস ভারী হয়ে ওঠেছিল। স্বাধীনতার পর এ যাবৎ যে কয়টি ঘুর্নিঝড় হয়েছে তার মধ্যে ৭০ এর বন্যাটি সব চেয়ে ভয়াবহ ও হিংস্র ছিল বলে মনে করছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। ৭০ এর হ্যারিকেনরুপী জলচ্ছ্বাসের সময় ঝড়টি উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলা ছাড়াও পাশ্ববর্তী বরিশাল, বরগুনা, পটুয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, বাগেরহাট, খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় ১৮টি জেলায় আঘাত হানে উপকুলীয় জেলাগুলোর মধ্যে বেশী ক্ষয় ক্ষতি হয়েছিল দ্বীপ জেলা ভোলায়। তৎকালীন সময়ে তথ্যপ্রযুক্তি অনেকটা দুর্বল থাকায় উপকুলের বহু মানুষ ঝড়ের পূর্বাভাস পাননি। এ সময় জলচ্ছ্বাস হয়েছিল ১০ থেকে ১৪ ফুট উচ্চতায়। কেউ গাছের ডালে, কেউ আবার উঁচু ছাদে আশ্রয় নিয়ে কোনমতে প্রাণে রক্ষা পেলেও ৩/৪ দিন পর্যন্ত তাদের অভুক্ত কাটাতে হয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, ওই সময় ভোলার এক তৃতীয়াংশ জনপদ লন্ড-ভন্ড হয়ে যায়। স্বাধীনতার পর এক এক করে প্রায় র্অধশত বছর পেরিয়ে গেলেও আজও কান্না থামেনি উপকূলীয় এলাকার স্বজন হারা লাখো মানুষের। এদিকে নিহতদের স্মরনে উপকূলীয় জেলাগুলোতে পালন করা হবে স্মরনসভাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান। এ ছাড়া এবারও উপকূল দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উপকূলীয় এলাকার মানুষ। উপকূল সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম মন্টুর আহ্বানে ভোলা জেলার ভোলা সদর, মনপুরা, তজুমদ্দিন উপজেলা এবং বরগুনা জেলাসহ উপকূলীয় কয়েকটি জেলায় উপকূল দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৭০ এর সেই ভয়াল স্মৃতির বর্ণনা করতে গিয়ে ভোলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবং ওই সময়ের দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার ভোলা সংবাদদাতা এম হাবিবুর রহমান (৭৮) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের (৮১) বলেন, সেদিন ছিল রোজার মাস। সকাল থেকেই মেঘে আচ্ছন্ন ছিল। দুপুরের পর থেকে আস্তে আস্তে বাতাস বইতে শুরু হয়। বিকেলের দিকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। সন্ধ্যায় বাতাসের বেগ বাড়তে থাকে। সন্ধ্যার পর বাতাস ও বৃষ্টির প্রচন্ডতা বেড়ে যায়। রাত প্রায় আড়াইটার দিকে মেঘনা-তেতুঁলিয়া ও বঙ্গোপসাগরের জলচ্ছ্বাসের পানি ১৪ ফুট উচুঁ বেড়ি বাধের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে গোটা জেলা তলিয়ে যায়। এ সময় শহরের সদর রোডে হাটুর ওপরে ৩/৪ ফুট পানি ওঠে। ’পানি আইতাছে’ বলে চিৎকার দিয়ে শহরের আশ-পাশ থেকে বহু নারী, পুরুষ ও শিশু ছুটোছুটি করে ভোলা শহরের দিকে ধাবিত হয়ে কালিনাথ রায় বাজারের তৎকালীন অগ্রনী ব্যাংকের দোতলায়, সদর রোডের বরিশালের দালান, টাউন স্কুল এবং ভোলা সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেয়। তিনি আরো বলেন, পরদিন ১৩ নভেম্বর ভোরে পানি যখন নামতে শুরু করে তখন প্রচন্ড বেগে জলচ্ছ্বাসের পানির স্রোতে বেশ কয়েকটি মাছ ধরার ট্রলার ও লঞ্চ শহরে ঢুকে পড়ে। পানিতে ভেসে যাচ্ছে অগনিত মানুষের লাশ। বিভিন্ন গাছের মাথায় ঝুলতে দেখা গেছে মানুষ ও পশুর মৃতদেহ। চারিদিকে শুধু লাশ আর লাশ। যেন লাশের মিছিল হয়েছিল ৭০ এর জলচ্ছ্বাসে। গোটা জেলাকে তছতছ করে দিয়েছে। মৃত্যুপূরীতে পরিনত হয়েছিল এ দ্বীপ জেলা ভোলার জনপদ। এক মাস ধরে মেঘনা-তেতুঁলিয়া নদীতে মাছ ধরা বন্ধ রেখেছিল জেলেরা। ওই জলচ্ছ্বাসে এক লক্ষাধিক মানুষের প্রাণ হারিয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র মনপুরা উপজেলায় ২২ হাজার মানুষের মধ্যে ১৭ হাজার মানুষ পানিতে ভেসে গেছে। তাদের কাউকেই আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। ভোলা শহর ছাড়াও মনপুরা, বোরহানউদ্দিন, দৌলতখান, লালমোহন, তজুমদ্দিন ও চরফ্যাশন উপজেলার অনেক বাড়ি রয়েছে যে বাড়িতে একটি লোকও ছিলনা। তারা আরো বলেন, ভোলার টিএন্ডটি সম্পূর্ন বিধ্বস্থ হওয়ায় ওই সময়ে বর্হিবিশ্বের সাথে যোগাযোগের কোন ব্যবস্থা ছিলনা। ফলে ভোলায় ঝড়-জলচ্ছ্বাসের তান্ডবলিলার খবর কেউ জানতে পারেনি। চারদিন পর পুলিশ ওয়ার্লেসের মাধ্যমে ঢাকার মগবাজার টিএন্ডটিকে জানালে তারা পত্রিকা অফিসে ম্যাসেজটি পৌছে দেয়। হাবিবুর রহমান বলেন, পূর্বদেশ পত্রিকায় “বাংলার মানুষ কাঁদো। ভোলার গাছে গাছে ঝুলছে লাশ, মেঘনা নদীতে লাশের মিছিল” শিরোনামে তার সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হলে বহির্বিশ্ব তখন জানতে পারে।
এ বিষয়ে উপকূলের সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম মন্টু বলেন, উপকূলবাসীর জীবন মানউন্নয়নসহ উপকূল সুরক্ষার লক্ষ্য সামনে রেখে অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও দেশে পালিত হচ্ছে ‘উপকূলদিবস’। ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বরের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে নিহতদের স্মরণ এবং উপকূলের মানুষের অধিকার ও ন্যায্যতাপ্রতিষ্ঠান দাবিতে এই দিনটিকে ‘উপকূলদিবস’ হিসাবে পালন করা হচ্ছে। উপকূলবাসী সরকারের কাছে এই দিবসের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দাবি করেছে। কোস্টালজার্নালিজম নেটওয়ার্ক-সিজেনেট ও চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ-এর যৌথ উদ্যোগে এ বছর উপকূলের ১৬ জেলার ৪২ উপজেলার ৫৬ স্থানে একযোগে ‘উপকূলদিবস’ পালিত হচ্ছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মানববন্ধন, আলোচনাসভা, ঘূর্ণিঝড়ে প্রয়াতদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জলন এবং স্মারকলিপি পেশ।

ঢাকায় উপকূলদিবস উপলক্ষে ১২ নভেম্বর দুপুর আড়াইটায় ‘ভয়েস অব কোস্ট’ শিরোনামে ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়েছে। ঢাকায় অনুষ্ঠিত ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি থাকবেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান এমপি। সম্মানিত অতিথি হিসাবে থাকবেন বেলা’র প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। বিশেষ অতিথি থাকবেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ও ইউএনএফসিসি’র স্বল্পোন্নত দেশগুলোর প্রতিনিধি মো: জিয়াউল হক এবং অক্সফাম বাংলাদেশ- এরক্লাইমেটজাস্টিস এন্ড ন্যাচারালরিসোর্স রাইটসবিভাগের প্রধান এনামুল মজিদ খান সিদ্দিকী। এ বছর রাজধানী ঢাকাসহ উপকূলের ১৬ জেলার ৪২ উপজেলার ৫৬টি স্থানে উপকূলদিবস পালিত হচ্ছে। এর মধ্যে কক্সবাজার সদর, মহেশখালী, চট্টগ্রামের বাঁশখালী, সন্দ্বীপ, মিরেরসরাই, ফেনীর সোনাগাজী, নোয়াখালীসদর, সুবর্ণচর, লক্ষ্মীপুর সদর, কমলনগর, ভোলা সদর, চরফ্যাসন, তজুমদ্দিন, লালমোহন, মনপুরা, দৌলতখান, দক্ষিণ আইচা, দুলারহাট, ঢালচর, বরিশাল সদর, পটুয়াখালী সদর, কলাপাড়া, কুয়াকাটা, গলাচিপা, দশমিনা, রাঙ্গাবালী, পাখিমারা (কলাপাড়া), পশ্চিম সোনাতলা (কলাপাড়া), চরকাজল, বরগুনা সদর, বামনা, বেতাগী, পাথরঘাটা,
আমতলী, তালতলী, পিরোজপুরের কাউখালী, ইন্দুরকানি, ঝালকাঠি সদর, কাঁঠালিয়া, বাগেরহাট সদর, শরণখোলা, রামপাল, সাতক্ষীরা সদর, শ্যামনগর, তালা, আশাশুনি, প্রতাপনগর (আশাশুনি), বুড়িগোয়ালিনী (শ্যামনগর), পদ্মপুকুর (শ্যামনগর), খুলনার কয়রা, পাইকগাছা এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের চাড়ালডাঙ্গা। উপকূলদিবস বাস্তবায়ন কমিটির আহবানে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের শতাধিক সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান দিবস পালনে এগিয়ে এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা,
গণমাধ্যকর্মীদের সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান, কিশোর-তরুণদের ফোরাম ইত্যাদি। সাংবাদিকতায় ও সংবাদ মাধ্যমে উপকূলের প্রান্তিক জনপদের গুরুত্ব বাড়িয়ে তুলতে ২০১৬ প্রথম উপকূলদিবসের চিন্তা করেন উপকূল-সন্ধানী সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম মন্টু। ‘১২ নভেম্বর হোক উপকূলদিবস’ এই শিরোনামে লেখালেখির মাধ্যমে তিনি জনমত গড়ে তোলেন। পরের বছর ২০১৭ তারই উদ্যোগে কোস্টালজার্নালিজম নেটওয়ার্ক- সিজেনেট-এর আয়োজনে উপকূলের ৩৪ স্থানে উপকূলদিবস পালনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসটি পালনের সূচনা ঘটে। পরবর্তীতে দিবসটি পালনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয় জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের অনেক সংগঠন।
এত দিবসের ভিড়ে উপকূলের জন্য একটি পৃথক দিবস প্রসঙ্গে উপকূলদিবস বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী ও উপকূল- সন্ধানী সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম মন্টু বলেন, উপকূলের দিকে গণমাধ্যম ও নীতি নির্ধারকদের নজর বাড়িয়ে উপকূলবাসীর জীবন মানউন্নয়ন ঘটানোই উপকূলের জন্য একটি দিবস প্রস্তাবের মূল লক্ষ্য। এক যুগেরও বেশি ধরে উপকূল নিয়ে নিবিড়ভাবে রিপোর্টিং
করতে গিয়ে আমি উপকূলদিবসের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করি। উপকূলের জন্য একটি পৃথক দিবস থাকলে উপকূলভাবনা সবার মাঝে দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে। সরকারের নীতি নির্ধারণী মহল, সংবাদমাধ্যম থেকে শুরু করে সকল মহলে উপকূল-ভাবনার সুযোগ বাড়বে। এর মধ্য দিয়ে উপকূল সুরক্ষা এবং সেখানকার নাগরিকেদের অধিকার নিশ্চিত করার পথ সুগম হবে। একই সঙ্গে ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বরের সাইক্লোনে প্রয়াত উপকূল অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষকে স্মরণ করা হবে। ১২ নভেম্বর ‘উপকূলদিবস’ প্রস্তাবের যৌক্তিকতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উপকূলবাসীর কাছে স্মরণীয় দিন হিসাবে ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বরকেই ‘উপকূলদিবস’ হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে। এ দিন বাংলাদেশের উপকূলের উপর দিয়ে বয়ে যায় সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘ভোলা সাইক্লোন’। এই ঘূর্ণিঝড় লন্ডভন্ড করে দেয় উপকূল। বহু মানুষ প্রাণ হারান। ঘরবাড়ি হারিয়ে পথে বসেন। এই ঘূর্ণিঝড় গোটা বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। এটি সিম্পসন স্কেলে ক্যাটাগরি ৩ মাত্রার ঘূর্ণিঝড় ছিল। ঘূর্ণিঝড়টি ৮ই নভেম্বর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট হয়। ক্রমশ শক্তিশালী হতে হতে এটি উত্তর দিকে অগ্রসর হতে থাকে। ১১ নভেম্বর এটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ১৮৫ কিলোমিটারে পৌঁছায়। ওই রাতেই উপকূলে আঘাত হানে। জলোচ্ছ্বাসের কারণে উপকূলীয়অঞ্চল ও দ্বীপসমূহ প্লাবিত হয়। ওই ঘূর্ণিঝড়ে দশ লাখের বেশি লোকের প্রাণহানি ঘটেছে বলে বিভিন্ন সূত্রের দাবি।
জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) বিশ্বেও পাঁচ ধরনের ভয়াবহ প্রাণঘাতি আবহাওয়া ঘটনার শীর্ষ তালিকা প্রকাশ
করে গত বছরের ১৮ মে। ওই তালিকায় বাংলাদেশের উপকূলঅঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বরের ঘূর্ণিঝড়টিকে পৃথিবীর সর্বকালের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ংকর প্রাণঘাতি ঝড় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে উইকিপিডিয়ার সূত্র বলছে, এ পর্যন্ত রেকর্ডকৃত ঘূর্ণিঝড় সমূহের মধ্যে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্নিঝড়। প্রসঙ্গত, পূর্বে কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর এবং পশ্চিমে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের কালিঞ্চিগ্রাম পর্যন্ত সমুদ্ররেখা বরাবর উপকূলের প্রায় ৫ কোটি মানুষ প্রতিনিয়ত বহুমূখী দুর্যোগের সঙ্গে বসবাস করেন। কেবল দুর্যোগ এলেই সংবাদ মাধ্যমে এদের খবরাখবর দেখা যায়। কিন্তু স্বাভাবিক সময়েও তাদের জীবন যে কতটা অস্বাভাবিক, সে বিষয়ে খুব একটা খোঁজ রাখা হয়না। উপকূলদিবসের দাবি বাস্তবায়িত হলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলেও উপকূলের বিশেষ খবরের দিকে সংবাদ মাধ্যমের নজর পড়বে।

আপনার মন্তব্য এই বক্সে লিখুন

উপদেষ্টা: মো.নকীব তালুকদার
উপদেষ্টা সম্পাদক: আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক,বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম(বিএমএসএফ) ঢাকা, আইন উপদেষ্টাঃ মোঃ কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক-মো.জাহিদুল ইসলাম দুলাল, সভাপতি লালমোহন জার্নালিষ্ট ফোরাম, ভোলা।

সম্পাদক: মো.শিমুল চৌধুরী
প্রকাশক:আরিফুর রহমান(রাহাত)
অফিস:
৭২৪,১ম তলা প্রেসক্লাব ভবন,ভোলা।
লালমোহন অফিস: ১২ নং ওয়ার্ড লালমোহন পৌরসভা,ভোলা।
বার্তা কক্ষ ই-মেইল: [email protected]
মোবাইল: ০১৭১৫-২৬১৬৪৫

প্রতিষ্ঠাতা: মোঃ মহির উদ্দিন (মাহিম)

কারিগরি সহায়তা: Next Tech

শিরোনাম :
★★ শেখ হাসিনা আছেন বলেই দেশের উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে- এমপি শাওন ★★ শেখ হাসিনার সরকার শুধু শহর নয় গ্রামাঞ্চলের মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন – এমপি শাওন ★★ তজুমদ্দিনে ১১শ কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও এমপি শাওন ★★ শোষিত বঞ্চিত মানুষের পক্ষে বঙ্গবন্ধু প্রতিবাদী কন্ঠস্বর ★★ শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের দাঁত ভাঙা জবাব দিবে বাংলার জনগন- এমপি শাওন ★★ সামনের স্মার্ট নাগরিক হবে প্রযুক্তি নির্ভর-এমপি শাওন ★★ ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করে শেখ হাসিনাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি- এমপি শাওন ★★ ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় লালমোহনে প্রস্তুত ১৯৮টি আশ্রয়কেন্দ্র ★★ লালমোহনে পিতৃভিটা উদ্ধারে দ্বারেদ্বারে ঘুরছে সন্তানরা ★★ লালমোহনে অনামিকা আইসিটি প্রশিক্ষন কেন্দ্রে চলমান ফ্রি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ পরিদর্শন করলেন উপ সচিব জাকির হোসেন (বাচ্চু)